প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামসুল ওয়ারেস কলকাতায় প্রাচ্যকলার সূত্রপাত নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তিনি শিল্পের বৈশ্বিক মান ও স্থানিক সংযোগের গুরুত্ব তুল ধরেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে শিল্পকে বৈশ্বিক হতে হবে। তবে তার একটি স্থানিক গুরুত্ব থাকতে হবে। যেটা শিল্পী ত্রিবেদী গুপুর কাজে রয়েছে।
শামসুল ওয়ারেস বলেন, জাপান, ভারত বা বাংলাদেশ—শিল্পী যে দেশের হবেন, তাঁর কাজে যেন সেই জায়গার বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়। একই সঙ্গে সেই শিল্পটির মধ্যে এমন ভাবনা থাকতে হবে, যা বৈশ্বিক অর্থাৎ যেকোনো দেশের, ভাষার মানুষ—সে শিল্পের সঙ্গে নিজের সংযোগ খুঁজে পায়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে অধ্যাপক আবদুর শাকুর শাহ বলেন, শিল্পীরা এখন আগের চেয়ে অনেক স্বাধীনভাবে ভাবার অবকাশ পায়। একসময শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনরা যখন শিল্পচর্চা শুরু করেছিলেন, তখন শিল্পীদের জীবিকা নির্বাহ করতেই অনেক কাজে সীমাবদ্ধতা টানতে হতো। এখন অনেক মাধ্যম তৈরি হয়েছে।
শিল্পী ত্রিবেদী গুপু জানান, এই প্রদর্শনী অন্তত গত দুই বছরের পরিকল্পনার ফল। চার দফায় বাছাইয়ের পর এই চিত্রকর্মগুলো নির্বাচিত করা হয়েছে। আলোচনার পর্বের পর অতিথিরা ঘণ্টা বাজিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনেই উপস্থিত হয়েছিলেন শিল্পী, শিল্পবোদ্ধা, লেখক, শিক্ষার্থীসহ অনেক দর্শক।
প্রদর্শনীটি ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। গ্যালারি কায়ায় প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।